University and Country Selection > Germany > জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্যে এপ্লাই করার ধাপসমূহ


.

বাংলাদেশের অনেক স্টুডেন্টেরই স্বপ্ন থাকে উচ্চশিক্ষার জন্যে জার্মানিতে যাওয়ার। ছাত্রাবস্থায় আমারো ছিলো কিন্তু অনেক কনফিউশন আর হেল্পফুল কোনো গাইডলাইন না থাকায় অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমার মত যাতে কারো এই কনফিউশনগুলো না হয় আর “মাস্টার্স-পিএইচডি এইসব হলো এলিট শ্রেণীর জন্যে” এই ভয়ে কেউ যাতে যোগ্যতা, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা করা থেকে বিরত না থাকে তার জন্যে আমি এই লেখাটা দিলাম।

 

১. যোগ্যতাঃ

আমিও মনে করতাম 3.00 এর উপর না থাকলে ভালো কোথাও হাইয়ার স্টাডি করা একটা দিবাস্বপ্ন। যার কারণে ছাত্রাবস্থায় আর পাশ করার পরে দেড় বছর কোনো চেষ্টাই করিনি। পরে একজন সিনিয়র আর ২-৩জন ফ্রেন্ডের কথায় সাহস করে শুরূ করলাম। আজপর্যন্ত অনেক ব্যাচমেট আর জুনিয়রএর সাথে কথা বলে দেখলাম, যাদের সিজি 3.00 এর নিচে তাদের ৯০%-ই মনে করে উচ্চশিক্ষা করার চেষ্টা করে লাভ নাই। আমার সিজি 2.86 + 1-1 এর Math-এ ২বার লগ, কপালজোরে যে ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পাইছি তা খুব একটা খারাপ ভার্সিটি না। তবে যাই হোক, প্রবল ইচ্ছাশক্তি না থাকলে কেউ মুখে তুলে খাওয়াই দিবেনা-এইটা মনে রাখাও ভালো। তাই সিজি খারাপ হলেও নিজেকে রিফাইন করে নিলে ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু কপালে লেখা হবেই। একটা হতাশার ব্যাপার দেখলাম, আমাদের কনফিডেন্স লেভেল ভার্সিটিতে গিয়ে শূন্যের কাছাকাছি নেমে যায় (আমার কথা বলতেছি, অন্যদের কি হয় তা বলতে পারিনা, প্রশ্ন করলে স্যাররা ঝাড়ি দিতো আর বলতো – গাধা, এইটাও বুঝনা!!!)। বিলিভ ইট অর নট- আমাদের ১০০% বাঙ্গালী স্টুডেন্টের মধ্যেই অনেক যোগ্যতা  আর অপার সম্ভাবনা আছে।

২.কোর্স সার্চঃ

 

পড়ার জন্য বিভিন্ন কোর্স খোঁজার জন্যে সরাসরি http://www.daad.de/deutschland/studienangebote/international-programmes/07535.en.html লিঙ্কে গিয়ে লেভেল, ফিল্ড অফ স্টাডি, এন্ড এ সাবজেক্ট এই প্যারামিটারগুলো ঠিক করে দিলে নিচে সবুজ বক্সে এভেইলেবল প্রোগ্রামের সংখ্যা দেয়া থাকবে। হলুদ বক্সে শৌ প্রোগ্রামস-এ ক্লিক করলে সব সাব্জেক্টের নাম লিঙ্ক সহ দেখাবে।

 

Another way for the “Course Search”:

 

http://www.tu9.de/graduate/master.php

 

[TU9 is the network of the leading Institutes of Technology in Germany and  were very successful in the German government’s Excellence Initiative.

RWTH Aachen, TU München and Universität Karlsruhe (TH) (now Karlsruhe Institute of Technology) were awarded the status of “excellence universities”. ]

 

৩. কোর্স বাছাইঃ

 

জার্মানিতেই শুধু না, বাইরের যে কোনো দেশে পড়তে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেখে নেয়া লাগে যেসব বিষয় সেগুলো হলো-

 

  1. a)    সাবজেক্টঃ

 

উপরের লিঙ্ক থেকে প্রোগ্রাম সার্চ দিলে অনেক প্রোগ্রামই হয়ত আসবে, কিন্তু সব প্রোগ্রামইতো আর আমাদের পড়ার জন্যে উপযুক্ত না। যেমন- আমি যখন প্রোগ্রাম সার্চ করছিলাম তখন প্রিন্ট এন্ড মিডিয়া টেকনোলজি নামে একটা সাবজেক্টও আসছিলো, কিন্তু দেশে চাকরির কথা চিন্তা করি অথবা আরো উচ্চতর পড়ার কথাই চিন্তা করিনা কেন আমার কাছে মনে হয়েছিলো এইটা আমার পড়া উচিত হবেনা।

 

 

 

  1. b)    ভাষাঃ

 

অনেক সাবজেক্ট আছে জার্মান ভাষায়, অনেকেরই হয়তো জার্মান ভাষার কোর্স করা থাকতে পারে, তবে আমার পরামর্শ জার্মান ভাষার সাবজেক্টগুলো আমাদের জন্য কঠিনই হবে। কারণ টিচারের লেকচার বুঝতে হবে ভিনদেশি ভাষায়, আবার পরীক্ষার খাতায় বুঝাতেও হবে সেই ভাষায়। মানে ডাবল পরিশ্রম। উপরের লিঙ্কে সার্চ করে যে কোনো প্রোগ্রাম পেজ-এ ঢুকলেই Course Language দেয়া থাকে।আমি যে লিঙ্কটা দিলাম তাতে সব ইংরেজী ভাষার কোর্স। কারো যদি ইচ্ছা হয় জার্মান ভাষায় পড়ার তাহলে http://www.daad.de/deutschland/studienangebote/alle-studiengaenge/06539.en.html এই লিঙ্কে গেলে জার্মান, ইংরেজী সব মাধ্যমের সাবজেক্ট একসাথে পাওয়া যাবে।

 

  1. c)    Admission semester, etc.:

 

এই ব্যাপারটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেয়া থাকে Winter Semester only অথবা Summer semester only বা Both semester দেয়া থাকে। এটা অবশ্যই খেয়াল করতে হবে। Beginning of program, Program duration এগুলোও লিঙ্কে দেয়া থাকে। আর Application deadline-তো অবশ্যই দেখা উচিত। Description of Content  – এই জিনিসটা হাল্কা দেখে নেয়া ভালো, ভিসার ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতে এটা অবশ্যই কাজে লাগবে (যদি বাঙ্গালী ইন্টারভিউয়ার থাকে তাহলেতো এটা জানতেই হবে।) সাথে সাথে এর ঠিক নিচে Course Description (Read More)-এইটা পড়তে হবে, অন্ততপক্ষে কত ক্রেডিটের কোর্স তা জানার জন্যে।

 

 

 

  1. d)    Cost, Fees, and Funding:

 

এইটা হলো পেজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেখার বিষয়। টিউশন ফি, এনরোলমেন্ট ফি অনেক ভার্সিটিতে লাগেনা, কোথাও আবার লাগে প্রতি সেমিস্টার ২০০-৩০০ ইউরোর মত। তবে কিছু সাবজেক্ট, যেমন- আমার ভার্সিটি TUM- এর এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, লাগে ২ বছরে ২০০০০ ইউরো+ ভ্যাট। Cost of Living ৮০০ইউরো দেয়া থাকলেও ৫০০ ইউরোই যথেষ্ট। মিউনিখের মত বড় শহরগুলোতে খরচ একটু বেশি, তবে ৫০০র বেশি না। খরচের ব্যবচ্ছেদ মিউনিখের জন্যে খাওয়া ৬০+ হেলথ ইন্সুরেন্স ৮০+বাসা ভাড়া ৩০০+ বিবিধ ৩০। বেশি বেশি করে ধরেই বললাম এটা। অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগবে ট্রান্সপোর্টেশনের খরচ কই? এখানেই হলো টিউশন ফি-র মজা। টিউশন ফি অনেক ভার্সিটিতে নেয়া হয় স্টুডেন্ট ইউনিয়নের জন্যে, এরা আবার বাস-ট্রামের অথরিটির সাথে চুক্তি করে রাখে। স্টুডেন্টদের একটা কার্ড দেয়া হয়, এটা সাথে নিয়ে চললে ট্রান্সপোর্টেশন খরচ নাই। আবার ক্যান্টিনে ডিস্কাউন্টে খাওয়াও যাবে এই কার্ড দেখিয়ে। কিছু ভার্সিটি আবার কোনো টিউশন ফি না নিয়েই এই সুবিধাগুলো দেয়।

 

এখানে আবার ফান্ডিং নিয়েও তথ্য দেয়া থাকে, যেমন ইন্টার্নশীপ অপরচুনিটি, স্কলারশিপ ইত্যাদি।

 

 

 

  1. e)    Required Entry Qualification Profile:

 

Ielts, Toefl লাগবে কিনা, কত লাগবে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এ সেকশনে। মজার ব্যাপার হলো, আমরা চার বছর ইংলিশ মিডিয়ামেই পড়ি, এই জন্যে অনেক ভার্সিটিই Ielts, Toefl চায়না (তবে সেরকম ভার্সিটির সঙ্খ্যা খুবই কম)। এটা যদি আগে জানতাম তাহলে মিনিমাম ফোর্থ ইয়ারে থাকা অবস্থায়ই অনেকগুলা জার্মান ভার্সিটিতে এপ্লাই করতাম। তবে হাইর‍্যাঙ্কড ভার্সিটিগুলো চাইতে পারে, ইভেন Gre-ইও। আর সেইফ সাইডে থাকার জন্যে Ielts, Toefl, Gre করা থাকলে গ্রহণযোগ্যতাও বাড়ে, ভিসাতেও সুবিধা হয়। তবে এগুলা করার ভয়ে এপ্লাই করা থেকে বিরত থাকাটাও বোকামি।

 

অনেক ভার্সিটি আবার হয়তো ইন্টারভিউও নিতে পারে। যেমন আমার ক্ষেত্রে হইছিলো। কিন্তু আমি বলবো, ভয়ের কিছু নাই। নিজের লাইফে এপর্যন্ত যত ইন্টারভিউ দিছি, যার মধ্যে ৩ বার দিছি ফরেইনারদের কাছে- এই অভিজ্ঞতা আর অন্যদের কাছ থেকে শুনেই বলতেছি, এই ইন্টারভিউ একেবারে সোজা। যেটা পারিনা সেটা সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে বলছি -পারিনা, কিন্তু শিখে নিবো। জার্মানির চাকরির ইন্টারভিউতে প্রশ্নকর্তারা তাদের কোম্পানি কি কি কাজ করে, যে পজিশনের জন্যে ইন্টারভিউ হচ্ছে তার দায়িত্ব কি হবে- তা বুঝায়, অবশেষে আপনি আপনার জ্ঞান, মেধা দিয়ে কোম্পানিকে কিভাবে সাহায্য করতে পারবেন – এ জাতীয় প্রশ্ন। সুতরাং যারা বাংলাদেশে কোনো চাকরির ইন্টারভিউ বা ভার্সিটিতে সেন্ট্রাল ভাইভা দিছে তাদেরকে বলবো- চিয়ার আপ! হোয়াই ডেয়ার??!!

 

 

 

  1. f)     শহর, ভার্সিটিঃ

 

Relevant additional information অংশটা দেখাটা জরুরি এই কারণে যে, ভার্সিটির অবস্থান (র‍্যাঙ্কিং), শহরের অবস্থা, থাকার ব্যবস্থা কেমন – এই ব্যাপারগুলা ক্লিয়ার করা যাবে।  বিশেষ করে শহর- অনেক শহরের ক্ষেত্রে লেখা থাকে “Only a little chance of parttime jobs”. সুতরাং সাবধাণে স্টেপ নিলে থাকা-খাওয়া-বাঁচা-মরা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবেনা। আর র‍্যাঙ্কিং জিনিসটা নিয়ে আর যাই হোক- জার্মান ভার্সিটিগুলোর পুরো চিত্রটা উঠে আসেনা। পড়ালেখার মান মোটামুটি সব জায়গায়ই একই- পার্থক্য রিসার্চের সঙ্খ্যা অনুসারে। সেদিক থেকেও আবার একেক ভার্সিটি একেক ফিল্ডের জন্যে বেস্ট বলা যায়।

 

 

 

৪. এপ্লাই করাঃ

 

এই সবগুলো বিষয় মনমতো হলে পেজের উপরের দিকে ডানপাশে Contact বা Submit Application to থেকে এড্ড্রেস নিয়ে এপ্লাই করা শুরু করতে হবে। আমি সরাসরি Contact থেকে প্রফেসরের মেইল এড্ড্রেস নিয়ে মেইল করে নাম, ভার্সিটি থেকে পাশের সাল আর সাবজেক্ট লিখে বলছিলাম এই ভার্সিটিতে (ভার্সিটির নাম) এই কোর্সে (কোর্সের নাম) স্টাডি করতে ইচ্ছুক। আমার Ielts স্কোর, সিজিপিএ, থিসিসের সাবজেক্ট ইত্যাদি ইত্যাদি… অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, ইন্সট্যান্ট জবাব দিয়ে তাঁরা বলে দেন কিভাবে কোথায় এপ্লাই করতে হবে। বেশিরভাগ ভার্সিটির অনলাইনে এপ্লাই করার সু্যোগ আছে। তবে যাই হোক, হার্ডকপি অবশ্যই পাঠাতে হবে (ব্যাতিক্রমও হতে পারে, তবে আমি ১০-১২টা ভার্সিটির প্রফেসর বা কোর্স কোওর্ডিনেটরের কাছে মেইল করছিলাম, সবাইই বলছিলো হার্ডকপি পাঠাতে)। তবে এখন বেশিরভাগ ভার্সিটিই অনলাইন এপ্লিকেশনের ব্যবস্থা রাখে- সুতরাং মেইল না করে অনলাইন এপ্লিকেশন আছে কিনা সেটা খেয়াল করে দেখুন ভালোভাবে। আরেকটা ব্যাপার, ২০দিনের বেশি সময় হাতে থাকলে হার্ডকপি সরকারি ডাকেই পাঠানো ভালো, মাত্র ২০০টাকার মত খরচ হয়, সময় লাগে ৭-১৫দিন। আমি একেবারে ইলেভেন্থ আওয়ারে গিয়ে এপ্লাই শুরু করছিলাম, সময় হাতে পাইছিলাম ৪-৫ দিন।যার কারণে DHL ছাড়া কোনো উপায় ছিলোনা, প্রতিটা ভার্সিটিতে এপ্লাই করতে গেলে প্রচুর খরচ হবে এই টেনশনে আল্লাহর উপর ভরসা করে মাত্র একটা ভার্সিটিতেই হার্ডকপি পাঠাইছিলাম।

 

আর সার্টিফাইড ফটোকপি নিয়াও একটা কনফিউশন হয় কমনলি, কেউ বলে ট্রু কপি দিতে হবে আবার কেউ বলে নোটারাইজড কপিই এনাফ। এইটা একটু খোঁজখবর নিয়ে দেয়া ভালো। তবে আমার মনে হয় নোটারাইজড কপিই যথেষ্ঠ। জার্মান এম্বাসিতে গিয়ে ফ্রি এটেস্টেড করানো যায়, তবে হাতে ৭ দিন সময় নিয়ে সেটা করাটা ভালো।

 

এপ্লাই করা শেষ হলে এরপর হয়তো সর্বোচ্চ ২ মাস পর্যন্তও ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে, এই টাইমটা খুবই ডিপ্রেসিভ। সময় কাটানোর জন্যে যারা জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে ভর্তি হয়নাই তারা আমার মতই Rosetta Stone – German Language Course সফটওয়ারটা ডাউনলোড করে ঘরে বসে জার্মান ভাষা প্র্যাকটিস করলে ভালো। টাকাও বাঁচবে, সময়ও কাটবে, কাজের কাজ কিছু একটা করাও হবে।

 

 

 

৫. ভিসা ও অন্যান্যঃ

 

ভার্সিটি থেকে অফার লেটার মেইলে আসার সাথে সাথে http://www.dhaka.diplo.de/Vertretung/dhaka/en/02/Einreise__Hauptbereich.html এখান থেকে টেলিফোন নাম্বার নিয়ে ভিসা এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ফেলতে হবে, যারা ঢাকায় থাকে তারা ফোন না করে সরাসরি এম্বাসিতে চলে যাওয়া উচিত (ফোন নং-এ কল করে এপয়ন্টমেন্ট নেয়ার কথা ওয়েবসাইটে থাকলেও এরা একটু ইরেস্পন্সিবল টাইপের। আমার সময় ফোনে ডেট দিছিলো একটা, পরে গিয়া দেখি তারা নাকি সেটা খাতায় তুলে নাই এজন্যে ঐদিন আমার ইন্টারভিউই হয়নাই। আমি বলছিলাম, আমাকে তাইলে ভিসা প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি করেন নাহলে ক্লাস মিস করবো। জবাবে অপিসার বললো ২-১ দিন ক্লাস মিস হইলে কিছু হবেনা!!!) আর অবশ্যই ৬-৭ সপ্তাহ সময় হাতে রেখে ভিসার জন্যে এপ্লাই করতে হবে।

 

 

 

সিমুল্ট্যনাসলি আরো একটা জিনিস করে রাখতে হবে। সেটা হলো ব্লকড একাউন্ট। http://www.dhaka.diplo.de/contentblob/1669296/Daten/1275757/Merkblaetter_Studentenvisa_Download.pdf

 

ব্লকড একাউন্ট নিয়া সবার মধ্যে একটা ভয় কাজ করে- অন্যদের কাছ থেকে শোনার পরে বলছি, এখান থেকে প্রয়োজন না হলে ১টাকাও তোলা লাগেনা, যদিনা কেউ জার্মানিতে গিয়ে কোনো কাজকাম না করে মাসে মাসে এখান থেকে টাকা তুলে খাওয়ার প্লান করে। এইটা জাস্ট একটা ভিসা ফরমালিটি। কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অফ সিলন পিএলসি আর ইবিএল ব্যাঙ্কের এই ব্যাপারে বেশ নামডাক আছে।কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক থেকে আমাকে বলছে ভিসা হওয়ার পরপরই নাকি এটা তুলে ফেলা যায়। যাচাই করে দেখা হয়নাই এখনো আমার।তাই আমার কথার উপর ভরসা না করাই বুদ্বিমানের কাজ হবে। এই ব্যাপারটা নিয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে রাখা ভালো, তবে বেশি ভয় পাওয়ারও কোনো মানে নাই।

[U will get only 3 months VISA and there is a regulation that after getting it u have to send ur block money to ur German bank account so that u can extend ur VISA when u will reach Germany. After extension of ur VISA some states do not mind if u send the money back to ur home, but some states have rule like u can only withdraw a limited amount of money for example: 650-750 Euro per month. So do ur math sharply!!: For more clarification, Read the 4th point of the 2nd page in the following link pdf: http://goo.gl/JwfWE]

 

টাকাপয়সা রেডি থাকলে ব্লকড সার্টিফিকেট দিতে ১দিন মাত্র সময় লাগে ব্যাঙ্কের। এই ব্লকড সার্টিফিকেট আর উপরের পিডিএফ ফাইলের কথামতো সব সার্টিফিকেট (ইনক্লুডিং Registration Card, Admit Card of S.S.C & H.S.C), ফটোকপি (২ কপি লেখা থাকলেও আসলে ৩ কপি নিতে হবে) এবং ফরম ২ কপি http://www.dhaka.diplo.de/contentblob/494300/Daten/55423/Antrag_Familienzusammenfuehrung_Download.pdf ফিলাপ করে প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে ভিসা ইন্টারভিউয়ের দিন এম্বাসিতে। অনেকসময় নাকি এম্বাসি এগুলো আগেই জমা নেয়, তবে আমার সে সৌভাগ্য হয়নাই, ইন্টারভিউয়ের দিনই নিয়ে যেতে বলছিলো আমাকে।আর ভিসা ইন্টারভিউ খুব সহজ একটা ব্যাপার।

 

সর্বোপরি যে কোনো এজেন্সী থেকে সাবধাণ!!! এজেন্সীগুলা হইলো ফার্মগেট-গুলিস্তান মোড়ে পাওয়া সর্বরোগের ওষুধ মলমের মত- শুধু বড়বড় কথা দিয়ে এডভের্টাইজিং আছে, লাগাইলে কাজ হবে হচ্ছে মনে হবে কিন্তু আসলে টাকাটা শুধু পানিতে ফেলা ছাড়া কিছুইনা। উপরের স্টেপগুলা তারা ফলো করবে আপনার হয়ে, কোনো সিউরিটি পাবেন্না, না হইলে বলবে আপনার যোগ্যতার অভাবে হলোনা- মাঝখান দিয়ে ভালো একটা এমাউন্ট আপনার কাছ থেকে খসাবে। আমাকে একজন কিছুদিন আগে বললেন তাকে নাকি এজেন্সী থেকে বলছে ব্লকড একাউন্টের টাকাটা তারা ব্যবস্থা করে দিবে, এছাড়া বাকি খরচপাতি মিলে সব প্রসেসিং-এ ৫ লাখ টাকা লাগবে। সো বি কেয়ারফুল!

 

আরো ডিটেইলস জানতে নিচের সাইটগুলো বেশ হেল্পফুল-

 

http://www.dw-world.de/dw/0,,13795,00.html

 

http://www.orkut.com/CommTopics?cmm=3946929

 

http://www.facebook.com/groups/BSAAG/

Written by Jamal Uddin Adnan·

Have any Question or Comment?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *